সোমবার, ৬ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৩শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হাজীগঞ্জে পাওনা টাকা ফেরত না দিয়ে তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা!

 

বিশেষ প্রতিনিধি,চাঁদপুর


চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের পাওনা টাকা ফেরত চাওয়ায় পাওনাদার ও মধ্যস্থতাকারীর নামে মিথ্যা মামলার অভিযোগ উঠেছে।

জানা গেছে, হাজীগঞ্জ পৌরসভার ১১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, মেসার্স এস.এস এন্টারপ্রাইজের কর্ণধার সাদেকুজ্জামান মুন্সি, ১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাঈনুদ্দিন মিয়াজী, গণমাধ্যমকর্মী আনোয়ার হোসেন মানিকের নামে অপহরণ ও চাঁদাবাজির অভিযোগে আদালতে মামলা দায়ের করেন হাজীগঞ্জ পৌরসভার ১১ নং ওয়ার্ড রান্ধুনীমুড়া গ্রামের মোস্তফার ছেলে শুভ।

আদালতে দায়েরকৃত অভিযোগে দাবি করা হয় কাউন্সিলর সাদেকুজ্জামান মুন্সি, মাঈনুদ্দিন মিয়াজী ও আনোয়ার হোসেন মানিক জনৈক শুভ’র কাছে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে। আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন(পিবিআই) চাঁদপুরকে দায়িত্ব দিয়েছে। মামলাটি বর্তমানে পিবিআই এর ইন্সপেক্টর আবু বকর সিদ্দিক তদন্ত করছেন।

আরও জানা গেছে, কাউন্সিলর সাদেকুজ্জামান মুন্সি তার প্রতিষ্ঠানের একটি এক্সাভেটর(ভেকু) মাসিক ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা চুক্তিতে ভাড়া দেয় শুভ’র কাছে। শুভ ভেকুটি ৮ মাস ব্যবহার করার পর মোট ভাড়া আসে ১২ লাখ ৮০ হাজার টাকা।এরমধ্যে তালবাহানা করে কয়েক ধাপে ৪ লাখ টাকা পরিশোধ করে শুভ।চুক্তি মোতাবেক আরো ৮ লাখ ৮০ হাজার টাকা পাওনা হয় কাউন্সিলরের প্রতিষ্ঠান এস.এস এন্টারপ্রাইজ ।

ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের পাওনা টাকার জন্য ইতোপূর্বে স্হানীয় কয়েকজন ব্যবসায়ী, জনপ্রতিনিধি ও শুভ’র পরিবারের অভিভাবকরাসহ একাধিক বার শালিস বৈঠক বসে, বৈঠকে উভয়পক্ষের শালিসী পাওনাদারের দাবিকৃত ৮ লাখ ৮০ হাজার টাকার স্হলে পাঁচ লাখ টাকা পরিশোধের রায় দেয়,কিন্তু দেনাদার শুভ বিভিন্ন তালবাহানা করে শালিসীদের রায় না মেনে একটি রাজনৈতিক কুচক্রী মহলের ইন্ধনে কাউন্সিলরের বিরুদ্বে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির হুমকি দিতে থাকে।

গত ১ লা অক্টোবর, পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাঈনুদ্দিনের অফিসে বিষয়টি সমাধানের লক্ষ্য একটি শালিসী বৈঠক বসে, সেখানে উপস্থিত সালিশদার মাঈনুদ্দিন মিজি,সাংবাদিক আনোয়ার হোসেন মানিকসহ স্হানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের সামনে পরবর্তী ১ মাস পর কাউন্সিলরের পাওনা টাকা পরিশোধের অঙ্গীকারে একটি তিন’শ টাকার নন জুডিশিয়াল স্টাম্পে লিখিত দেয় শুভ।

সেই অঙ্গীকার নামায় শুভ’র পরিবারের সদস্যও সাক্ষী রয়েছে। অথচ সালিসি বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এখন টাকা পরিশোধের সময় হওয়ায় একটি রাজনৈতিক কুচক্রী মহলের প্ররোচনায় পাওনাদার ও মধ্যস্থতাকারীদের বিরুদ্ধে আদালতে মিথ্যা মামলা দায়ের করে দুইজন জনপ্রিয় কাউন্সিলর ও একজন সাংবাদিকের নামে মানহানিকর ভিত্তিহীন সংবাদ করে আসছে প্রতারক শুভ।

পাওনা টাকা আদায়ের লক্ষে কাউন্সিলর সাদেকুজ্জামান মুন্সি বাদী হয়ে ১ লা অক্টোবর হাজীগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন, যা বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে।

অপহরণ ও চাঁদাবাজির মিথ্যা মামলা সম্পর্কে জানতে চাইলে কাউন্সিলর সাদেকুজ্জামান মুন্সি, মাঈনুদ্দিন মিয়াজী ও সাংবাদিক আনোয়ার হোসেন মানিক বলেন পিবিআই বাংলাদেশ পুলিশের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইউনিট,দেশের বহু আলোচিত-সমালোচিত ক্লু-লেস মামলার তদন্ত করে সঠিক রহস্য উন্মোচন করে পিবিআই জনগনের কাছে একটি স্বচ্ছ ও সততার ইউনিট হিসেবে সমাদৃত, অবশ্যই পিবিআই সঠিক তদন্তের মাধ্যমে এই মিথ্যা মামলার আসল রহস্য উন্মোচন করবে বলে আশাবাদী ভুক্তভোগীরা।

Comments are closed.

More News Of This Category